তাফসির শাস্ত্র

From Wikiversity

তাফসীর হলো কোরআন শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ

পবিত্র কুরআনুল কারীম হলো বিশ্ব মানব জাতির জন্য একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। তার মধ্যে চিকিৎসকদের জন্য চিকিৎসাশাস্ত্র, বিজ্ঞানীদের জন্য বিজ্ঞান এবং অন্যান্য সমস্ত জ্ঞান অন্তর্নিহিত রয়েছে। কিন্তু সেগুলো বোঝার জন্য দরকার অসীম চর্চা। মানুষজন চর্চার অভাবে মনে করে কোরআন শরীফের ভিতরে এগুলোর সম্বন্ধে কোনো জ্ঞান নেই। অথচ দেখা যায় বিজ্ঞান কতৃক কোন কিছু সাব্যস্ত হওয়ার পর সেগুলো কোরআন শরীফের সঙ্গেও হুবুহু মিলে যায়!

কোরআন শরীফের হুকুম-আহকাম হেকমত তথা প্রজ্ঞা এবং বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয়াবলীকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে জনসাধারণের নিকট সহজ করে তোলার কেই বলা হয় তাফসির। আরে পৃথিবীর সবথেকে বড় তাফসীরকারক ছিলেন রয়ীসুল মুফাসসিরীন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু)।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লামের হায়াতে আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ব্যতীত আরো অন্যান্য সাহাবাগণও কোরআনের তাফসীর করতেন। এবং এই ক্রমধারায় আস্তে আস্তে তাবেঈ, তাবে তাবেয়ী, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, ইমামগণ এবং বিভিন্ন অলী-আউলিয়া বুজুর্গ, আলেমগণ তাফসীর করে এসেছেন।

নিম্নে কোরআন শরীফের কয়েকটি বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হলো:

১। তাফসীরে কাশশাফ বা তাফসীরে কাবীর।

২। তাফসিরে ইবনে কাসির।

৩। তাফসীরে কাজি বায়যাবী।

৪। তাফসীরে জালালাইন।

৫। তাফসীরে মাযহারী।

৬। তাফসীরে নূরুল কোরআন।

৭। তাফসীরে বয়ানুল কুরআন।

৮। তাফসীরে মারেফুল কোরআন।

৯। তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন।

১০। তাফসীরে বুরহানুল কুরআন, ইত্যাদি।

মানবজাতির জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কর্তৃক সর্বশেষ ও চূড়ান্ত ধর্ম ইসলাম আগমনের পর যুগে যুগে অগণিত তাফসীরগ্রন্থ লেখা রয়েছে।

যার মধ্যে কিছু ভ্রান্ত তাফসীরও গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে যার একটি হল "তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন", যা আলেম হওয়ার দাবিদার আবুল আলা মওদুদী কর্তৃক লিখিত।

মুসলিম জাতি কর্তব্য হলো কোরআন শরীফ থেকে বোঝা এবং সে অনুযায়ী আমল করা। তাই আমাদের সকলের তাফসিরের মজলিসে বসা এবং বিভিন্ন বিষয় আলেমদের থেকে জিজ্ঞেস করে জেনে নেওয়া ঈমানী দায়িত্ব।